দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে হচ্ছে রোজা। তাই কিছুটা শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাথা ব্যথা তেমনই একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকেই রোজা রেখে মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
আবার যাঁদের আগে থেকে মাথাব্যথা আছে, তাঁদের ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে। কিছু বিষয় মেনে চললে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মাথা ব্যথার কারণের মধ্যে আছে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন বা পানিস্বল্পতা, ঘুমের ঘাটতি।
করণীয়
♦ ১৫-১৬ ঘণ্টা রোজা রাখার পর পানিস্বল্পতা হতেই পারে। পানির এ ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন ফলের জুস, শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করুন।
♦ হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধ করুন। সাহরিতে চিনি, মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান। এ ধরনের খাবার খেলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর দ্রুতই কমে যায়। তখন মাথা ব্যথা হয়। যেসব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম ও জটিল ধরনের শর্করা; যেমন—রুটি, ময়দা, শাক-সবজি, ফলমুল, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। এ খাবার দিয়ে সাহরি সাজাতে পারেন। অনেকে সাহরি খান না বা তারাবি পড়ে সাহরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
♦ রাত জেগে ইবাদত করলেও ঘুমের জন্য সময় নির্ধারণ করে নিন। দিনের কিছু অংশ ঘুমের জন্য রাখুন। তারাবি নামাজের আগে কিছুটা সময় ঘুমাতে পারেন।
♦ রমজানে মাথা ব্যথার কোনো ওষুধ যদি তিনবার খেতে হয় তাহলে সাহরির পর, ইফতারের পর ও তারাবি নামাজ পড়ে ঘুমের আগে খেতে পারেন।
♦ যাঁরা আগে থেকেই মাথা ব্যথার চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের মাথা ব্যথা কিছুটা বাড়তে পারে। রমজানে যে কারণে মাথা ব্যথা বাড়ে ঠিক একই কারণে মাইগ্রেন বাড়তে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়লেও ভয় পাবেন না। রোজার মাসের পর আবার ঠিক হয়ে যাবে।